নতুনভাবে সময় বৃদ্ধি করে রেলের ৩৩৮ পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি আবার প্রকাশিত হয়েছে

আবেদনের সময় বৃদ্ধি করে বাংলাদেশ রেলওয়ের নতুন সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

আপনার অনেকেই ইতোমধ্যেই জেনে থাকবেন যে, বাংলাদেশ রেলওয়ে থেকে বেশ কিছুদিন আগে একটি নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছিল। সেই বিজ্ঞপ্তিতে ৪ ধরনের ভিন্ন ভিন্ন পদের উল্লেখ ছিল। অনেকেই হয়তোবা সেই বিজ্ঞপ্তি দেখে এপ্লিকেশন জমাও করে ফেলেছেন অলরেডি।
সেই বিজ্ঞপ্তিটিরই সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সংশোধিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে মুলত অনলাইনে আবেদন জমা দেবার সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়া আরো কিছু ফান্ডামেন্টাল চেঞ্জ সহকারে সংশোধিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশিত হয়েছে যেসব আবেদন কারি যারা আছে তাদের অবশ্যই জানা থাকতে হবে, যদি কেউ আবেদন করতে চায় সেক্ষেত্রে প্রথমত সংশোধিত বিজ্ঞপ্তিটি মর্মার্থ ভাল করে জেনে বুঝে পরবর্তী স্টেপ ফলো করে আবে জমা দিতে হবে।
প্রসংগত উল্লেখ্য যে, অনেকেই জানতে চাইবেন এখন যে, আগে যারা প্রাথমিক সার্কুলার দেখে এপ্লাই করে ফেলেছেন, তাদেরকে কি আবার এপ্লিকেশন জমা দিতে হবে নাকি আগের এপ্লিকেশনটাই বহাল থাকবে।
এসব সকল প্রশ্নের জবাব সহ, নতুন বিজ্ঞপ্তির সকল খুটিনাটি বিষয় নিয়েই আমাদের আজকের এই আয়োজন। আশাকরি এই আয়োজনের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস আপনাদের কাজে আসবে। সাথেই থাকবেন।


কতদিন সময় বাড়ানো হয়েছে?

যেহেতু নতুন যে সংশোধনটি এসেছে সেই সংশোধনের মুল বিষয়বস্তু হচ্ছ, আবেদনের সময় বৃদ্ধি প্রসংগে। সেহেতু, কতখানি সময় বৃদ্ধি করা হল এবং ঠিক কত তারিখ পর্যন্ত এই বৃদ্ধি করা হয়েছে সে সম্পর্কে স্পস্ট আইডিয়া থাকা জরুরি। চলুন জেনে নেয়া যাক, ঠিক কত তারিখ পর্যন্ত সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে।
সময় বৃদ্ধি সংক্রান্ত যে বিজ্ঞপ্তিটি এসেছে সেটির একটি চিত্র বা ফটোগ্রাফের ছবি উপরে দেখতে পাচ্ছেন। সেখানে ঠিক যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে সেটিই এখানে হুবুহু তুলে ধরার চেষ্টা করছি।
উপরের ছবিতে দেখতে পাবেন একটি ছকে ৩ টি ঘরে বিভক্ত করে সার্কুলারটি এসেছে।
১ম যে ঘরটি সেখানে আছে ক্রম এবং ক্রম উল্লেখ আছে, ৩(ক)(ii)
ছকের ২য় বা ২ নং ঘরে হেডলাইন হচ্ছে, পুর্বে আবেদনপত্র দাখিলের নির্ধারিত সময়সীমা। অর্থ্যান ছকের এই ঘরে আপনি যেটা দেখতে পাচ্ছে, সেটা হচ্ছে আগে আবেদন জমার জন্য যে সময়সীমা বেধে দেয়া হয়েছিল, সেই সময়সীমা। এই ঘরের বর্ননা মোতাবেক, আগের আবেদনের সময়সীমা ছিল, ২০২৪ সালের আগষ্ট মাসের ৮ তারিখ, বিকাল ৫ টা পর্যন্ত।
এবার চলুন দেখে নেয়া যাক, ছকের ৩য় নম্বর যে ঘরটি আছে অর্থ্যাত 3rd (থার্ড কলামে) কি বলা আছে।
৩য় নাম্বার ঘরটাই সবচেয়ে বেশি আসল গুরুত্বপুর্ন। কারন এই ঘরেই লেখা আছে মুল তথ্যটি।
এই ঘরের হেডলাইনে লেখা আছে, আবেদনপত্র দাখিলের সংশোধিত সময়সীমা। তার নিচেই লেখা আছে কত তারিখ পর্যন্ত সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে।
ছকের তথ্য মোতাবেক, Online এ আবেদন পত্র জমাদানের বর্ধিত শেষ তারিখ ও সময় ২০২৪ সালের আগষ্ট মাসের ২৮ তারিখ, বিকাল ৫ টা পর্যন্ত করা হয়েছে।
আশাকরি কত তারিখ পর্যন বাড়ানো হয়েছে এবং আগের তারিখ কত ছিল এবং আগের ও পরের নতুন তারিখের মধ্যে কি কি চেঞ্জ এসেছে সে সম্পর্কে স্পস্ট ধারনা পেয়েছেন।
এবার চলুন দেখে নেয়া যাক, এই সার্কুলারের আরো কিছু গুরুত্বপুর্ন তথ্য যেমন, আগের সার্কুলারে কি কি পদ ছিল, কারা আবেদন করতে পারবেন, কিভাবে আবেদন জমা দিতে হবে, ইত্যাদি যাবতীয় বিষয় একটি একটি করে ক্লিয়ারলি চলুন আইডেন্টিফাই করে জেনে নেয়ার চেষ্টা করি।
সাথেই থাকবেন।



প্রাথমিক বিজ্ঞপ্তিতে কি কি পদ ছিল?

এই বিজ্ঞপ্তিটি যখন ১ম প্রকাশিত হয়েছিল তখন সেই বিজ্ঞপ্তিতে ৪ প্রকারে পদের উল্লেখ ছিল। সেই পদের ব্যাখ্যায় যাচ্ছি এর পরেই তবে তার আগে জানিয়ে দিতে চাই যে, উপরেই দেখুন আগের ১ম বার প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির ছবি বা ইমেজ দেয়া আছে। এখন নিচে যে আলোচনাগুলো দেখতে পাবেন তা এই উপরের ইমেজের তথ্যের আলোকেই করার চেষ্টা করবো। 
স্বেক্ষেত্রে, তথ্যগুলো আপনি এই লেখাগুলো পড়েও জেনে নিতে পারেন অথবা, উপরে নিচে যে ইমেজ ছবিগুলো আছে, সেগুলো পড়েও জেনে নিতে পারেন।
যাইহোক, চলুন তবে, নেক্সট ষ্টেপে।
আলোচনা করতে চেয়েছিলাম কি কি পদ আছে, সে সম্পর্কে। ৪ প্রকার পদের সমারোহ আছে সেটা আগেই বলেছি। সেই ৪ প্রকার পদের নাম গুলো হল -
  • ট্রেন এক্সামিনার (Train Examiner)  এ ৪৫ টি শুন্য পদ আছে - এই পদে এপ্লাই করার জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা চাওয়া হয়েছে যেকোন বিষয়ে অনার্স পাস।
  • ট্রেন কন্ট্রোলার (Train Controller) এ আছে শুন্য পদের সংখ্যা ২৭ টি - যেকোন স্বীকৃত ইউনিভার্সিটি থেকে অনার্স পাসকৃতগণ এপ্লিকেশন জমা দিতে পারবেন এই পদের বিপরীতে।
  • ট্র্যাফিক এপ্রেন্টিস (Traffic Apprentice) এ আছে ১৮ টি এবং সবশেষে - আবেদন জমা দেয়ার জন্য এই পদের বিপরীতে প্রার্থীকে অবশ্যই অনার্স থাকতে হবে।
  • ট্রেড এপ্রেন্টিস (Trade Appretice) এ আছে সবচেয়ে বেশি পদ ২৪৮ টি - এই পদের জন্য যদি কেউ এপ্লিকেশন জমা দিতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে তাকে বাংলাদেশের যেকোন শিক্ষাবোর্ড থেকে SSC পাস হতে হবে।



আবেদন জমা দেবার পদ্ধতি কি?

বর্তমানে সরকারি প্রায় সকল চাকরির ক্ষেত্রেই আবেদন জমা দিতে হয় অনলাইনে। অফলাইনে আবেদন জমা দেবার সিষ্টেম অনেকাংশেই বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে অনেক আগেই। তবে কিছু কিছু সরকারি প্রতিষ্ঠান কিছু কিছু সার্কুলারের ক্ষেত্রে অফলাইনে হার্ড কপি জমা গ্রহণের মাধ্যেমে এপ্লিকেশন নিয়ে থাকেন।
এখন আসা যাক, রেলের ক্ষেত্র কিভাবে অনলাইনে আবেদন গ্রহণ প্রকৃয়া চালু আছে সে আলোচলায়।
অনলাইনে আবেদন জমা দেবার ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই BR.TELETALK.COM.BD - এই ওয়েবসাইটে ঢুকে এপ্লিকেশন ফর্ম ষ্টেপ বাই ষ্টেপ ফিলাপ করার মাধ্যে জমা দিতে হবে।
এক্ষেত্রে বলে রাখা ভাল যে, আবেদন জমা দেবার জন্য আপনাকে অবশ্যই এপ্লিকেশন ফি জমা দিতে হবে। এই সার্কুলারের বেলায় ফি এর ক্ষেত্রে পদভেদে ২২৩ টাকা এবং ১১২ টাকা জমা প্রদান করতে হবে। এই ফি প্রদান করতে হবে টেলিটকের যেকোন মোবাইল নাম্বার ব্যাবহার করার মাধ্যেমে। টেলিটকের মাধ্যে আবেদন ফি জমাদানের প্রসেস দেখে নিবেন উপরে ইমেজে থেকে কারন এখানে লিখে দিলে ব্যাপারটা কিছু ভুল হয়ে যেতে পারে সেখানে উপরের ইমেজে থেকে ফি প্রদানের প্রকৃয়া জেনে নেবার জন্য আন্তরিক অনুরোধ জানাচ্ছি।

সবশেষে বলতে চাই যে,

চাকরি দেবার মালিক একমাত্র মহান আল্লাহ। আপনার কাজ হচ্ছে, এপ্লিকেশন সাবমিট করে মন দিয়ে পড়াশুনা করে চাকরির পরীক্ষার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করা। মনে রাখবেন, আল্লাহ তাকেই সাহায্য করে যিনি নিজেকে সাহায্য করেন। তাই আগ্রহী যারা আছেন, তারা এপ্লাই করে আল্লাহর উপর ভরসা রেখে মন দিয়ে পড়াশুনা চালিয়ে যেতে থাকেন। সবার জন্য আল্লহর দরবারে দোয়া ও উজ্জ্বল ভবিষ্যত কামনা করে আজকের মত বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।

 

Comments

Popular posts from this blog

Apply → শুধু বিকাল ৫ টা থেকে রাত ৮ টা বেতন ঘন্টা হিসেবে